বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরিধি ও সমৃদ্ধির তুলনায় বহু বিষয়ের মত বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায়ও পশ্চাদপদতা লক্ষ্যণীয়। কিন্তু এদেশের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম এই বিশ্বাস নিয়েই শুরু হয় “কোপার্নিকাস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল মেমোরিয়াল অব সাস্ট” নামক স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক সংগঠনটির যাত্রা।
দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার দুই দশকেও এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার সুযোগ ছিল অপ্রতুল। জ্যোতির্বিজ্ঞানের অসাধারণ এবং কৌতূহল উদ্দীপক বিষয়গুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে সহজে বোধগম্য করে উপস্থাপন করে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাই ক্যাম-সাস্টের লক্ষ্য। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী ক্যাম-সাস্ট তার কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট।
নাম: কোপার্নিকাস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল মেমোরিয়াল অব সাস্ট (Copernicus Astronomical Memorial of SUST)
সংক্ষিপ্ত নাম: ক্যাম-সাস্ট (cam-sust)
লোগো (Logo):
নামের ফন্ট (English): Algerian (তবে সর্বদা এই ফন্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়)
নীতিবাক্য (Motto): Pursuing the infinity
মূলমন্ত্র: “অসংখ্য অজানা থেকে জ্ঞান আহরণ করে সেই জ্ঞানকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।”
লক্ষ্য (Goal): জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়াদিকে সর্বসাধারণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করা। সর্বোপরি জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক একটি প্ল্যাটফর্ম (ক্ষেত্র) তৈরি করা।
প্রতিষ্ঠা: ৭ জুলাই, ২০১২ তারিখে ক্যাম-সাস্টের যাত্রা শুরু হয়।
অনুমোদন: ১৭ জুলাই, ২০১২ তারিখে ক্যাম-সাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে।
দাপ্তরিক ভাষা: বাংলা, তবে প্রয়োজনে ইংরেজিও সমান গুরুত্বসহকারে ব্যবহার্য।
দাপ্তরিক ভাষা: বাংলা, তবে প্রয়োজনে ইংরেজিও সমান গুরুত্বসহকারে ব্যবহার্য।
ক্যাম-সাস্ট একটি ধর্মনিরপেক্ষ (Secular), অরাজনৈতিক (Apolitical), অলাভজনক (Non-Profitable), ও স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক (Volunteering) বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন।
ক্যাম-সাস্টের প্রতিটি সদস্যের পারস্পরিক ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাম-সাস্টের কোনো সদস্য ক্যাম-সাস্ট বা শাবিপ্রবির অন্য কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের কারো সাথে অশোভন, অপ্রীতিকর, ও অশালীন আচরণে লিপ্ত হতে পারবে না। এমনকি ক্যাম-সাস্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না।
২.১ ক্যাম-সাস্টের সংবিধান লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় (২.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)।
২.২ ক্যাম-সাস্টের সংবিধান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২.৩ উক্ত সংবিধানের অধ্যায়গুলো হলো:
২.৪ ক্যাম-সাস্টের সর্বস্তরের সদস্যদের জন্য সংবিধান মেনে চলা বাধ্যতামূলক। ক্যাম-সাস্টের কোনো সদস্য সংবিধান পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে কার্যনির্বাহী কমিটি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারে, উপযুক্ত কারণ প্রদর্শনে অসফল হলে কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারে, এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কারণ-দর্শাও নোটিশ প্রদানের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব লিখিত আকারে প্রদান করতে হবে।
২.৫ সকল কমিটি সংবিধান অনুসারে কাজ করবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে সংবিধানের সাহায্য না পাওয়া গেলে প্রেসিডেন্ট কমিটি সদস্যদের সাথে মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিবে এবং প্রয়োজনে পরামর্শক সদস্য ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সাহায্য নিবে।
২.৬ বিশেষ প্রয়োজনে সংবিধানের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, ও পরিমার্জন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘সংবিধান সংশোধন কমিটি’ গঠন করতে হবে, যেখানে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্টসহ ৫ জন সদস্য থাকবে যাদের মধ্যে ৩ জন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাকি দুই জন্য পরামর্শক সদস্য হতে হবে। উক্ত ৫ জনের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট বাদে বাকি ৪ জন কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবে। এই ৫ জন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একজন সমন্বয়ক নির্ধারণ করবে যার কাজ হবে— সংবিধান সংশোধন কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। এই কমিটির ঘোষণার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রস্তাবিত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, ও পরিমার্জন কার্যনির্বাহী কমিটিকে হস্তান্তর করবে। সকল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও পরিমার্জন ৫ জনের ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ হতে হবে। তাদের প্রস্তাবিত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যনির্বাহী কমিটি দ্বারা গৃহীত হলে কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে নতুন সংবিধান কার্যকর ঘোষণা করবে।
২.৭ সংগঠন এবং সংবিধান সম্পর্কে কটুক্তি, অসদাচারণ, বা সংবিধানের নীতি লঙ্ঘন করে এমন কথা বা কাজ— সংবিধান পরিপন্থী বলে বিবেচিত হবে।
৩.১ ক্যাম-সাস্টের সদস্যপদ পাঁচ শ্রেণীর। এগুলো হল- সাধারণ সদস্য, কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য, বিশেষ সদস্য, পরামর্শক সদস্য, ও আজীবন সদস্য।
৩.১.১ সাধারণ সদস্য: শাবিপ্রবির যেকোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে নিবন্ধন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে সাধারণ সদস্যপদের আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে তাকে সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে।
৩.১.২ কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য: সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে যে সকল সদস্য সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মেয়াদে ক্যাম-সাস্ট পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হবে তারাই কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য।
৩.১.৩ পরামর্শক সদস্য: সফলভাবে দুই বার পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করা সকল কার্যনির্বাহী সদস্য পরামর্শক সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবে।
৩.১.৪ আজীবন সদস্য: ক্যাম-সাস্টের কোনো সদস্য এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ হয়ে গেলে আর সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য হবে না। তার সাধারণ সদস্যপদ আজীবন সদস্যপদে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তাদের আর কোনো অর্থ ক্যাম-সাস্টের তহবিলে জমা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
৩.১.৫ বিশেষ সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে সহযোগিতা করতে চায় এমন কেউ ক্যাম-সাস্টের বিশেষ সদস্য হতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো অর্থমূল্য প্রদান করতে হবে না।
৩.২ অনলাইনেও ক্যাম-সাস্টের সদস্য নিবন্ধন করা যাবে।
৩.৩ ক্যাম-সাস্টের যেকোনো সদস্য (প্রেসিডেন্ট ব্যতিরেকে) পদত্যাগ করতে চাইলে পদত্যাগপত্র জমা দিবে প্রেসিডেন্ট বরাবর। প্রেসিডেন্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারে।
৪.১ ক্যাম-সাস্টের যাবতীয় কর্মকাণ্ড কার্যনির্বাহী কমিটি দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে।
৪.২ প্রতিটি কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছর হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছরের কম বা বেশি হতে পারে।
৪.৩ প্রত্যেক কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যকে ক্যাম-সাস্টের সাধারণ সদস্য হতে হবে।
৪.৪ কাউকে কার্যনির্বাহী কমিটির অন্তর্ভুক্ত করার পূর্বে তার সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
৪.৫ কার্যনির্বাহী কমিটির পদসমূহ হল:
৪.৬ কার্যনির্বাহী কমিটিতে ৪.৫ এ বর্ণীত পদগুলো ব্যতীত অন্য কোনো পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না।
৪.৭ যে কেউ যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো কার্যকরী কমিটির অথবা শাবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ অরাজনৈতিক কোনো সংগঠন যা শাবিপ্রবি প্রশাসন কর্তৃক নিবন্ধিত, এমন কোনো সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য হলে ক্যাম-সাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হতে পারবে না। এমন কোনো ব্যক্তি যদি ক্যাম-সাস্টের কার্যকরী কমিটির সদস্য হতে চায় তবে তাকে উপরে উল্লেখিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আবার কেউ যদি ক্যাম-সাস্টের কার্যকরী কমিটির সদস্য থাকা অবস্থায় উপরে উল্লেখিত কোনো কমিটির সদস্য হতে চায় তাহলে তাকে ক্যাম-সাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করে স্বেচ্ছায় উপরে উল্লেখিত কোনো কমিটির সদস্য হলে তার কার্যনির্বাহী সদস্যপদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
৪.৮ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ এবং কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধান উপদেষ্টার নিকট দায়বদ্ধ।
৪.৯ প্রত্যেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যকে অবশ্যই কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অন্যথায়, তাকে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপযুক্ত কারণসহ জবাবদিহি করতে হবে।
৪.১০ মেয়াদের পূর্বে কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির এক বা একাধিক সদস্য পদত্যাগ করলে বা কোনো কারণে কার্যনির্বাহী কমিটির এক বা একাধিক পদ খালি হয়ে গেলে (প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, ট্রেজারার, অফিস সেক্রেটারি, ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদ ব্যতিরেকে) উক্ত পদ বা পদসমূহ কমিটির বাকি সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে পূরণ করবে।
৪.১১ কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রেসিডেন্ট, ও জেনারেল সেক্রেটারি ব্যতিরেকে যেকোনো সদস্যকে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
৪.১২ কার্যকরী কমিটির কোনো সদস্য কোনক্রমেই ভারপ্রাপ্ত পদসহ দুইয়ের অধিক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবে না।
৪.১৩ যেকোনো জরুরী প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা কমিটি স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা নতুন কার্যকরী কমিটি নির্বাচনে যথাযথ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে অধ্যায় ৫ শিথিলযোগ্য।
৪.১৪ কার্যনির্বাহী কমিটি সংবিধান বা সাংগঠনিক যেকোনো বিষয়ে পরামর্শক সদস্য ও উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শ বা সাহায্য চাইতে পারে।
৫.১ নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ১ বছর (পূর্বে উল্লেখিত নিয়মে কম বা বেশি হতে পারে) পূর্ণ হওয়ার অন্তত ১ মাস আগে গোপন ভোটের মাধ্যমে ৩ জন সদস্য নির্বাচন করবে। এই ৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবে প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, ট্রেজারার, অফিস সেক্রেটারি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এবং পরামর্শক সদস্যদের মধ্য থেকে। নির্বাচিত ৩ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হবে ‘কার্যনির্বাহী-কমিটি নির্বাচক কমিটি’।
৫.২ এই ৩ জন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একজন সমন্বয়ক নির্ধারণ করবে যার কাজ হবে— কার্যনির্বাহী-কমিটি নির্বাচক কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
৫.৩ ৩ জনের এ কমিটি আলোচনার মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করবে। কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে এই ৩ জনের সমান গুরুত্ব থাকবে। ৩ জনের অন্তত ২ জন কোনো বিষয়ে একমত হলে তৃতীয় জনের আপত্তি এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫.৪ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচক কমিটির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১ মাস (৩০ দিন)। এই নির্বাচক কমিটি তাদের নির্বাচিত নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা উক্ত সময়ের মধ্যে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি, এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৃথক পৃথকভাবে প্রেরণ করবে।
৫.৫ ‘কার্যনির্বাহী-কমিটি নির্বাচক কমিটি’ কর্তৃক প্রস্তাবিত নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধান উপদেষ্টা এক সাধারণ সভায় ঘোষণা করবে এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে সাথে সাথেই বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
৫.৬ যোগ্য লোকের সংকট থাকলে নির্বাচিত নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির পদ খালি রাখা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ৪.৫ এ উল্লেখিত সহকারী পদসমূহ ব্যতিরেকে অন্যান্য পদসমূহ অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
৬.১ প্রেসিডেন্ট ক্যাম-সাস্টের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রধান ও সমগ্র কমিটির প্রতিনিধিত্ব করবে।
৬.২ প্রেসিডেন্ট ক্যাম-সাস্টের সকল কর্মকাণ্ডের খোঁজখবর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবে। প্রেসিডেন্ট সকল কার্যনির্বাহী সদস্যের কাছে কাজের জবাবদিহিতা চাইতে পারবে এবং তারা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।
৬.৩ যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যেকোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে পরবর্তীতে তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যেকোনো কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য প্রশ্ন তুলতে পারবে এবং প্রেসিডেন্ট সেই সভায় প্রশ্নের উত্তর দানে বাধ্য থাকবে। প্রয়োজনে সভায় উপস্থিত অধিকাংশের সম্মতিতে প্রেসিডেন্টের নেয়া যে সকল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বাস্তবে পরিবর্তন করা সম্ভব সেই সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তন করা যাবে।
৬.৪ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রেসিডেন্টের গৃহীত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ঐ একই বিষয়ে অন্য কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়।
৬.৫ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রেসিডেন্ট এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
৬.৬ প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে ট্রেজারার, অফিস সেক্রেটারি, জেনারেল সেক্রেটারি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি— এই অনুক্রমে, সম্মতিসহকারে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ সম্মতি প্রকাশ না করলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কমিটির মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
৬.৭ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে ৬.২, ৬.৩, ৬.৪ এবং ১৪.১১ প্রযোজ্য হবে না।
৬.৮ প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে ৬.৬ অনুযায়ী একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, ট্রেজারার, অফিস সেক্রেটারি, ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারি থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
৬.৯ প্রেসিডেন্ট অন্যান্য কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন (Annual Report) তৈরি করবে। এই প্রতিবেদনে ক্যাম-সাস্টের নির্দিষ্ট মেয়াদের (Administrative Year) যাবতীয় কার্যক্রম, সম্পত্তির (Property) সম্যক বিবরণ এবং আলাদা আলাদাভাবে প্রতি বিভাগের হিসাবের বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৬.১০ পদত্যাগের ক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পদত্যাগপত্র প্রদান করবে। প্রধান উপদেষ্টা কার্যনির্বাহী কমিটি এবং পরামর্শক সদস্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারবে।
৭.১ জেনারেল সেক্রেটারি কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
৭.২ জেনারেল সেক্রেটারি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের (প্রেসিডেন্ট ও ট্রেজারার ব্যতিরেকে ) কাছে কাজের হালহকিকত (আপডেট) জানতে চাইতে পারবে এবং তারা তা জানাতে বাধ্য থাকবে।
৭.৩ যদি অফিস, অর্গানাইজিং, আই.টি., ফিল্ড এডুকেশান, স্টাডি সার্কেল, পাবলিসিটি অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল আর্টস, পাবলিকেশান, রিসার্চ অ্যান্ড প্রজেক্ট— যেকোনো ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে জেনারেল সেক্রেটারি তাৎক্ষণিক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে পরবর্তীতে তার এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যেকোনো কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য প্রশ্ন তুলতে পারবে এবং জেনারেল সেক্রেটারি সেই সভায় প্রশ্নের উত্তর দানে বাধ্য থাকবে। প্রয়োজনে সভায় উপস্থিত অধিকাংশের সম্মতিতে জেনারেল সেক্রেটারির নেয়া যে সকল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বাস্তবে পরিবর্তন করা সম্ভব সেই সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তন করা যাবে।
৭.৪ অফিস, অর্গানাইজিং, আই.টি., ফিল্ড এডুকেশান, স্টাডি সার্কেল, পাবলিসিটি অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল আর্টস, পাবলিকেশান, রিসার্চ অ্যান্ড প্রজেক্ট— যেকোনো ক্ষেত্রের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জেনারেল সেক্রেটারির গৃহীত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত, ঐ একই বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যের (প্রেসিডেন্ট ব্যতীত) তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়। তবে জেনারেল সেক্রেটারির যেকোনো বিষয়ের যেকোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয় ঐ একই বিষয়ে প্রেসিডেন্টের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত।
৭.৫ জেনারেল সেক্রেটারির অবর্তমানে সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, অফিস সেক্রেটারি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ও ট্রেজারার— এই অনুক্রমে, সম্মতিসহকারে একজন ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ সম্মতি প্রকাশ না করলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কমিটির মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে একই ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
৭.৬ জেনারেল সেক্রেটারি পদত্যাগ করলে বা পদ শূন্য হলে, ৭.৫ অনুযায়ী একজনকে ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি, ট্রেজারার, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, অফিস সেক্রেটারি, ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারি থেকে একজনকে জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
৮.১ ক্যাম-সাস্টের তহবিল প্রেসিডেন্টের তত্ত্বাবধানে ট্রেজারারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
৮.২ সাংগঠনিক কাজে ট্রেজারার প্রেসিডেন্টের অনুমতি সাপেক্ষে অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকবে।
৮.৩ কার্যনির্বাহী কমিটি যেকোনো কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তহবিলের হিসাব চাইলে ট্রেজারার কার্যনির্বাহী কমিটির সেই সভায় বা তার পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সেই হিসাব দিতে বাধ্য থাকবে।
৮.৪ ট্রেজারার সমুদয় অর্থনৈতিক হিসাবের নথি রাখবে এবং দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় প্রতিবেদন আকারে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট হস্তান্তর করবে।
৮.৫ সংগঠনের কোনো কাজে কার্যনির্বাহী কমিটির পূর্ব পরিকল্পনার বাইরে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থের প্রয়োজন পড়লে ট্রেজারার প্রেসিডেন্টের তাৎক্ষণিক অনুমতি সাপেক্ষে অর্থ ছাড় করতে পারে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অবগত করবে এবং কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হলে; ট্রেজারার, এবং প্রেসিডেন্ট উভয়েই কার্যনির্বাহী কমিটিকে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দানে বাধ্য থাকবে।
৮.৬ তহবিল ক্যাম-সাস্টের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। প্রেসিডেন্টের অনুমতি সাপেক্ষে ট্রেজারার কিছু পরিমাণ অর্থ নিজের কাছে রাখতে পারে।
৮.৭ ক্যাম-সাস্টের সকল সাধারণ সদস্যকে মাসিক ১০ টাকা করে ক্যাম-সাস্টের তহবিলে জমা দিতে হবে। যদি কেউ পুরো এক বছর টাকা না দেয় তবে তার সাধারণ সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে এ বাতিল হয়ে যাওয়া সদস্যপদ পরবর্তীতে ১২০ টাকা প্রদান করে যেকোনো সময়ে পুনরায় ফিরে পাওয়া যাবে।
৮.৮ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা তহবিলে জমা দিতে হবে। চাঁদার পরিমাণ কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত হবে। তবে এ চাঁদার পরিমাণ ন্যূনতম ৫০ টাকা হতে হবে। কোনো কার্যনির্বাহী সদস্যের ৪ মাস বা তার দীর্ঘসময় ধরে চাঁদা বাকি থাকলে তাকে কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া যেতে পারে কিংবা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। উপযুক্ত কারণ প্রদর্শনে অসফল হলে কার্যনির্বাহী কমিটি যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদানের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব লিখিত আকারে প্রদান করতে হবে।
৮.৯ সংগঠনের বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে অনুদান গ্রহণ করা যাবে। সকল অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে অনুদান প্রদানকারীকে রশিদ দিতে হবে।
৮.১০ ৮.৭, ৮.৮, ও ৮.৯ এ বর্ণীত যাবতীয় অর্থ ও রশিদের বিনিময় ট্রেজারারের মাধ্যমে হবে।
৮.১১ ট্রেজারারের অবর্তমানে অফিস সেক্রেটারি, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি— এই অনুক্রমে, সম্মতিসহকারে একজন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ সম্মতি প্রকাশ না করলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কমিটির মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, বা ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকালে একই ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
৮.১২ ট্রেজারার পদত্যাগ করলে বা পদ শূন্য হলে, ৮.১১ অনুযায়ী একজনকে ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার, অফিস সেক্রেটারি, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারি থেকে একজনকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
১০.১ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
১০.২ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য তাদের নেয়া তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে অর্গানাইজিং সেক্রেটারিকে জানাতে হবে। অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সেই সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল সেক্রেটারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
১০.৩ বিশেষ কমিটি বা বিশেষ পদ কর্তৃক নেয়া সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম অর্গানাইজিং সেক্রেটারি তত্ত্বাবধান করবে, এবং এ ব্যাপারে নিয়মিতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটিকে অবহিত করবে।
১০.৪ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সকল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তসমূহ কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী নিয়মিত সভায় উপস্থাপন করবে।
১০.৫ অর্গানাইজিং সেক্রেটারির অবর্তমানে সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, অফিস সেক্রেটারি— এই অনুক্রমে, সম্মতিসহকারে একজন ভারপ্রাপ্ত অর্গানাজিং সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ সম্মতি প্রকাশ না করলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কমিটির মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাজিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, বা ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি, বা ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার, বা ভারপ্রাপ্ত অফিস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকালে একই ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
১০.৬ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদত্যাগ করলে বা পদ শূন্য হলে, ১০.৫ অনুযায়ী একজনকে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিuক্রমে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ও সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি থেকে একজনকে অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
১০.১ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
১০.২ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য তাদের নেয়া তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে অর্গানাইজিং সেক্রেটারিকে জানাতে হবে। অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সেই সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল সেক্রেটারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
১০.৩ বিশেষ কমিটি বা বিশেষ পদ কর্তৃক নেয়া সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম অর্গানাইজিং সেক্রেটারি তত্ত্বাবধান করবে, এবং এ ব্যাপারে নিয়মিতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটিকে অবহিত করবে।
১০.৪ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সকল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তসমূহ কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী নিয়মিত সভায় উপস্থাপন করবে।
১০.৫ অর্গানাইজিং সেক্রেটারির অবর্তমানে সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি, অফিস সেক্রেটারি— এই অনুক্রমে, সম্মতিসহকারে একজন ভারপ্রাপ্ত অর্গানাজিং সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ সম্মতি প্রকাশ না করলে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কমিটির মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাজিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে। উল্লিখিত পদধারীদের মধ্য থেকে কেউ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, বা ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি, বা ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার, বা ভারপ্রাপ্ত অফিস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকালে একই ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
১০.৬ অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদত্যাগ করলে বা পদ শূন্য হলে, ১০.৫ অনুযায়ী একজনকে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিuক্রমে ভারপ্রাপ্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, সহকারী অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ও সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি থেকে একজনকে অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
১১.১ সংগঠনের সামগ্রিক কার্যক্রমকে এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার জন্য এগিয়ে নিতে সেক্রেটারিরা কাজ করবে।
১১.২ অন্যান্য সেক্রেটারি তাদের নিজ নিজ বিভাগে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের জন্য তারা কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
১১.৩ যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে সেক্রেটারিগণ শুধুমাত্র নিজের সেক্টরে তাৎক্ষণিক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে পরবর্তীতে তাদের এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির যেকোনো সদস্য প্রশ্ন তুলতে পারবে এবং তারা সেই সভায় সেই প্রশ্নের উত্তর দানে বাধ্য থাকবে।
১১.৪ সেক্রেটারি নিজ নিজ সেক্টরে যেকোনো কর্মকাণ্ডের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
১১.৫ ক্যাম-সাস্টের লাইব্রেরি পরিচালনার দায়িত্ব পাবলিকেশন সেক্রেটারি ও সহকারী পাবলিকেশন সেক্রেটারির অধীনে থাকবে
১২.১ কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনবোধে ক্যাম-সাস্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি প্রদান করতে পারে। এসকল কমিটিকে উক্ত কার্যক্রমের বিশেষ কমিটি বলা হবে।
১২.২ এই বিশেষ কমিটিতে ক্যাম-সাস্টের যেকোনো পর্যায়ের সদস্যকে রাখা যেতে পারে।
১২.৩ বিশেষ কমিটির কাজ, ব্যাপ্তিকাল এবং সদস্য নির্ধারণ করবে ক্যাম-সাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটি। একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে এই কমিটির উদ্দেশ্য, ব্যাপ্তিকাল ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করবে কার্যনির্বাহী কমিটি।
১২.৪ বিশেষ কমিটিসমূহ তাদের সকল কাজের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকবে এবং নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে কাজের আপডেট দিবে।
১২.৫ বিশেষ কমিটিতে কিছু নির্ধারিত পদ থাকবে। সেগুলো হল:
১। কনভেনর (১টি)
২। কো-কনভেনর (সর্বোচ্চ ২টি)
৩। মেম্বার সেক্রেটারি (১টি)
৪। সহকারী মেম্বার সেক্রেটারি (কমপক্ষে ১টি)
৫। ট্রেজারার (১টি)
এছাড়া প্রয়োজন সাপেক্ষে অন্যান্য পদে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
১২.৬ ক্যাম-সাস্টের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে প্রচার, প্রসার, ও পরিচালনার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নির্ধারিত পদের বাইরে এক বা একাধিক পদে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের জন্য সদস্য নিয়োগ দেয়া যাবে। এসকল পদকে সামগ্রিকভাবে বিশেষ পদ বলা হবে। ক্যাম-সাস্টের যেকোনো পর্যায়ের সদস্যকে এসকল পদে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। বিশেষ পদের কাজ, ও মেয়াদ নির্ধারণ, এবং নিয়োগ প্রদান করবে কার্যনির্বাহী কমিটি। বিশেষ পদের সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এবং নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে কাজের হালচাল জানাবে।
১৩.১ ক্যাম-সাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধান উপদেষ্টার নিকট দায়বদ্ধ।
১৩.২ কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বেই জরুরী মুহূর্তে কেবলমাত্র প্রধান উপদেষ্টা উক্ত কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করতে পারবে।
১৩.৩ ক্যাম-সাস্টের প্রতি সহানুভূতিশীল যেকোনো ব্যক্তিকে কার্যনির্বাহী কমিটি আলোচনা সাপেক্ষে উপদেষ্টা হিসেবে আমন্ত্রণ ও গ্রহণ করতে পারে। তবে প্রধান উপদেষ্টাকে অবশ্যই শাবিপ্রবির শিক্ষক হতে হবে।
১৩.৪ ক্যাম-সাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটির অবর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
১৩.৫ উপদেষ্টামণ্ডলীর কোনো সদস্য যদি ৬ মাসের অধিক সময় ধরে ক্যাম-সাস্টের সাথে বিচ্ছিন্ন থাকে, তবে কার্যনির্বাহী কমিটি চাইলে, উক্ত সদস্যকে উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে প্রত্যাহার করতে পারে।
১৩.৬ উপদেষ্টাগণ সাংগঠনিক যেকোনো বিষয়ে পরামর্শক সদস্যদের পরামর্শ বা সাহায্য চাইতে পারবে।
১৪.১ সভায় উপস্থিত সকলে মতামত দিতে পারবে।
১৪.২ সাধারণ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবে জেনারেল সেক্রেটারি এবং সভাপতিত্ব করবে প্রেসিডেন্ট। সাধারণ সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী কমিটি নিবে। জরুরী প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট সাধারণ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবে।
১৪.৩ নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভার অন্তত ২৪ ঘণ্টা পূর্বে সভার স্থান ও সময় অধিকাংশ সদস্যের জন্য সুবিধাজনক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাতে হবে। তবে জরুরী প্রয়োজনে যেকোনো মুহূর্তে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করা যাবে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে অধিকাংশ সদস্যদের জন্য সুবিধাজনক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাতে হবে।
১৪.৪ সাধারণ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অনুপস্থিত থাকলে এবং পূর্বেই প্রেসিডেন্ট বা জেনারেল সেক্রেটারিকে উপযুক্ত কারণসহ অবহিত না করলে তাকে কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া যেতে পারে। উপযুক্ত কারণ প্রদর্শনে অসফল হলে কার্যনির্বাহী কমিটি যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদানের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব লিখিত আকারে প্রদান করতে হবে।
১৪.৫ যদি কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত না থেকে (জরুরী কার্যনির্বাহী কমিটির সভা বাদে) পরবর্তী সময়ে সেই সভায় নেয়া কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি তোলে তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না।
১৪.৬ জরুরী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে। প্রয়োজনে সভায় উপস্থিত অধিকাংশের সম্মতিতে জরুরী কার্যনির্বাহী সভায় নেয়া যে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবে পরিবর্তন করা সম্ভব সেই সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তন করা যাবে।
১৪.৭ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যতীত কেউ উপস্থিত থাকতে পারবে না। কার্যনির্বাহী কমিটি চাইলে কোনো উপদেষ্টা, বিশেষ কমিটি, বিশেষ কমিটির প্রতিনিধি, অন্য কোনো সংগঠন, বা কার্যনির্বাহী কমিটির বাইরের কোনো ব্যক্তির সাথে সভা করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সেটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হিসেবে গণ্য হবে না।
১৪.৮ নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যের মধ্যে অধিকাংশের মতামতই কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বা মতামত হিসেবে গণ্য হবে।
১৪.৯ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত ভোটের মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্ত ক্যাম-সাস্টের সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
১৪.১০ ভোট গ্রহণ প্রকাশ্য বা গোপনে হতে পারে। তবে যদি কোনো বিষয়ে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম একজন সদস্যও প্রকাশ্য ভোটের বিরোধিতা করে তবে ভোট গ্রহণ গোপনে করতে হবে।
১৪.১১ সর্বাধিক ভোট পাওয়া সিদ্ধান্তটি কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হবে। তবে কোনো বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত যুগ্মভাবে সর্বাধিক ভোট পেলে সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট উক্ত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্য থেকে একটিকে চূড়ান্ত করবে।
-সমাপ্ত-